প্রাচীন বাঙ্গালী সভ্যতার আধুনিক স্হপতি, বিশ্ব মানবতার অগ্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী দেশপ্রেমের আলোকিত বাতিঘর মহান স্বাধীনতার স্হপতি বঙ্গবন্ধুর চির স্মরনীয় উক্তিঃ
ইকবাল আহামেদ লিটনঃ
* মুখে এক অন্তরে আরেক এর নাম মুনাফেক। মুনাফেকদের মহান মহান স্রষ্টা ক্ষমা করবে না। এরা দল দেশ জাতি মানব সভ্যতার দুশমন।
* অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোন দিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশী হয়।
* জনগনের সমর্থন ছাড়া, গন আন্দোলন ছাড়া, গন বিপ্লব ছাড়া বিপ্লব সফল হয় না।
* এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
* আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে প্রানের চেয়ে বেশী ভালবাসি, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা আমার দেশের মানুষ আমাকে খুব বেশী ভালবাসে।
* যে মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তত, কেউ তাঁকে মারতে পারে না।
* প্রধানমন্ত্রী হবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু, যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন, তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো।
* সাম্প্রদায়িকতা যেনো মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে। হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে। বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে। খ্রীষ্টান তার ধর্মকর্ম করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।
* সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারবো না।
* দেশ থেকে দুর্নীতি, সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করবো।
* এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে না পারে। এই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।
* ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না। সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ দরকার।
* বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মধ্যে যিনি যেখানে যে দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি সেখানে আপন কর্তব্য পালন করলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে না।
* সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তারা জনগণের বাপ, জনগণের ছেলে, জনগণের সন্তান। তাদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
* সমস্ত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।
* গরীবের উপর অত্যাচার করলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে।
* জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এই কথা মনে রাখতে হবে। আমি বা আপনারা সবাই মৃত্যুর পর সামান্য কয়েক গজ কাপড় ছাড়া সাথে আর কিছুই নিয়ে যাবো না। তবে কেনো আপনারা মানুষকে শোষণ করবেন, মানুষের উপর অত্যাচার করবেন?
* দেশের সাধারণ মানুষ, যারা আজও দুঃখী, যারা আজও নিরন্তর সংগ্রাম করে বেঁচে আছে, তাদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখকে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উপজীব্য করার জন্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
* বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
* বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই ইনশাল্লাহ।
* আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।
* মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।
* বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত – শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।
* এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।
* আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ দুঃখী, আর যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খায় নাই, তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারবো না।
* বাংলার কৃষক বাংলার প্রান। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে আমাদের চাষীরা হল সবচেয়ে দুঃখী ও নির্যাতিত শ্রেণী এবং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্যে আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পেছনে নিয়োজিত করতে হবে।
* সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। তাই মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করে গণমানুষের সুখ, শান্তি ও স্বপ্ন এবং আশা-আকাঙ্খাকে অবলম্বন করে গড়ে উঠবে বাংলার নিজস্ব সাহিত্য-সাংস্কৃতি।
*দেশের সাধারন মানুষ, যারা আজও দুঃখী, যারা আজও নিরন্তর সংগ্রাম করে বেঁচে আছে, তাদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখকে শিল্প সংস্কৃতি সাহিত্যের উপজীব্য করার জন্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
* আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না। পরিস্কার আদর্শ উদেশ্য ছাড়া গনআন্দোলন হতে পারে না। আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়। আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়। আন্দোলনের জন্য নিঃস্বার্থ কর্মী হতে হয়। ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার। আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।
* রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চারটি জিনিসের বিশেষ প্রয়োজন, তা হচ্ছে: সৎ যোগ্য নিঃস্বার্থ নিবেদিত নেতৃত্ব, ম্যানিফেস্টো বা আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী এবং সংগঠন।
* বাংলার উর্বর মাটিতে যেমন সোনা ফলে, ঠিক তেমনি পরগাছাও জন্মায়! একইভাবে, বাংলাদেশে কতকগুলো রাজনৈতিক পরগাছা রয়েছে, যারা বাংলার মানুষের বর্তমান দুঃখ-দূর্দশার জন্য দায়ী।
* যদি আমরা বিভক্ত হয়ে যাই এবং স্বার্থের দ্বন্দ ও মতাদর্শের অনৈক্যের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে আত্বঘাতী সংঘাতে মেতে উঠি, তাহলে যারা এদেশের মানুষের ভালো চান না ও এখানাকার সম্পদের ওপর ভাগ বসাতে চান তাদেরই সুবিধা হবে এবং বাংলাদেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভাগ্যাহত ও দুঃখী মানুষের মুক্তির দিনটি পিছিয়ে যাবে।
* পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।
* ভুলে যেয়ো না। স্বাধীনতা পেয়েছো এক রকম শত্রুর সাথে লড়াই করে। তখন আমরা জানতাম আমাদের এক নম্বর শত্রু পাকিস্থানের সামরিক বাহিনী ও শোষকগোষ্ঠী। কিন্তু এখন শত্রুকে চেনাই কষ্টকর।
* বঙ্গবন্ধু একবার একান্ত আলাপচারিতায় যুবলীগের কয়েকজন কর্মীকে বলেছিলেন, আমি মারা গেলে আমার কবরে একটা টিনের চোঙ্গা রেখে দিস। লোকে জানবে এই একটা লোক একটা টিনের চোঙ্গা হাতে নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিল এবং সারাজীবন সে বাঙ্গালী বাঙ্গালী বলে চিৎকার করে মারা গেলো।
* আমি বিশ্বাস করি, খমতা বাংলার জনগণের কাছে। জনগন যদি আমাকে বলে ক্ষমতা ছেড়ে দাও’, বঙ্গবন্ধু একদিনও রাষ্ট্রপতি, একদিনও প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে নাই। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছে শোষণহীন সমাজ কায়েম করার জন্য। ২৬ মার্চ ১৯৭৫
হে মহান স্রষ্টা তোমার কাছে প্রার্থনা করোনা মহামারীর মহাসংকটকালে বিভিন্ন শ্রেনী পেশা সংগঠনের মধ্যে ঘাপটিমারা তাবেদার চাটুকার বেঈমান মুনাফেক লুটেরা দুর্ভৃত্যদের হেদায়েত দান করুন, বিশ্ব মানবতার অগ্রদূত বাঙ্গালীর অকৃত্রিম বন্ধু নিবেদিত রাজনীতির বাতিঘর মহান স্বাধীনতার স্হপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন, আমিন।
লেখক: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সদস্য সচিব- আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ